Header Ads

কোমল পানীয় পান করার ক্ষতিসমূহ এবং যা করা উচিত


“বিসমিল্লাহির রহমানীর রাহীম”। কোমল পানীয় পছন্দ করেন এমন কয় জন আছেন? হাত তোলেন! ;) দেখবেন ১০ জনের মধ্যে ৮ জনই হাত তুলবে। হ্যা এটাই স্বাভাবিক। বাজারে হাতের নাগালেই পেয়ে যাবেন নাম জানা – অজানা নানান কোমল পানীয় অর্থাৎ যাকেআমরা আদর করে ডাকি এনার্জি ড্রিকংস। আমরা অনেকেই জানি না যে এই সব এনার্জি ড্রিকংস গুলোতে আসলে কি থাকে। তবে খেতে অবশ্য বেশ মজা পাই। কারণ কোমল পানীয় গুলো আসলে খেতে ভারি মজাদার। কিন্তু প্রশ্ন হলো, নাম কোমল পানীয় হলেও তা কি সত্যি আমাদের দেহের জন্য কোমলীয়? নাহ একদম না। কোমল পানীয় আমাদের দেহের জন্য মারাত্তক ক্ষতি কর। মুলত কোমল পানিতে আছে ফসফরিক এসিড, ক্যাফেইন, সুগার, কার্বন ডাই অক্সাইড, অ্যালুমিনিয়াম ইত্যাদি। যা মুলত আমাদের দেহের ক্ষতি করার পাশা পাশি কোলেস্ট্রল মানে অতিরিক্ত মেদ বাড়িয়ে দেয়। সহজ কথায় আমাদের শরীরের ওজন বৃদ্ধি করে। যাই হোক আজ আমি আপনাদের সামনে এই কোমল পানীয়র কিছু বিশেষ ক্ষতিকর বিষয়গুলো তুলে ধরবো।

ক্ষতিকর দিক সমূহঃ

  • দুধ, ভিটামিন ডি, বি৬, বি১২, ক্যালসিয়ামের শোষণ হ্রাস পায়। যার ফলে হাড়ের ঘনত্ব কমে।
  • দাঁতের এনামেল নষ্ট হয়। ক্যাবিজের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়।
  • দেহে কোলেস্ট্রল বৃদ্ধি করে মানে শরীরের ওজন বাড়ায়। ক্ষুদা মন্দা সৃষ্টি করে এবং অতিরিক্ত পানে তা বৃদ্ধি পেতে থাকে।
  • কোমল পানীয় অ্যাসিডিক, তাই অ্যাসিডিটি বাড়ায়।
  • কিডনিতে পাথর হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
  • চামড়ায় ভাঁজের সৃষ্টি হয়। ফলে চেহারায় বয়সের ছাপ পড়ে।

যা করা উচিতঃ

  • যতদুর সম্ভব কোমল পানীয় পান করা থেকে নিজেকে বিরত রাখুন।
  • যদি পান করা থেকে বিরত না থাকতে পারেন তাহলে নিয়মিত নয়, মাঝে মাঝে (২০০-২৫০ মিলি) পান করতে পারেন।
  • খালি পেটে কখনোই পান করবেন না।
  • ক্ষার জাতীয় খাবার খাওয়ার পর পান করুন।
  • কোমল পানীয় পান করার সময় স্ট্র ব্যবহার করুন।
  • পান করার পর ব্রাস করে নিতে ভুলবেন না যেন
কিছু সাধারণ ও সহজ নিয়ম মেনে চলা উচিত। শুধু কোমল পানীয় পানের ক্ষেত্রে নয়। সব ক্ষেত্রেই। আমি বলবো কোমল পানীয় পানের মায়া ত্যাগ করুন। এতে আপনার নিজেরই উপকার হবে। কারণ এই সব ফাষ্টফুড শরীরের জন্য এতটাই ক্ষতিকর যে যা আমরা কখনোই কল্পনা করতে পারবো না।
-মোঃ আব্দুর রহি

No comments

Powered by Blogger.